About Me

ছাতকের কৈতক হাসপাতালে নার্সের হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ!

Online news 27 :: 

ছাতকের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের নার্স পদটি যেনো আলাদিনের চেরাগ। ডাক্তার না হয়েও প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে প্রতারণার মাধ্যমে দিচ্ছেন ভূল চিকিৎসা। তিন উপজেলার কেন্দ্র বিন্দু এই হাসপাতাল থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।


তাদের এসব কর্মকাণ্ডে বিপাকে পড়ছেন শত শত সেবা প্রার্থীরা। টাকা ছাড়া কোনো ধরনের সেবা মিলছেনা এ হাসপাতালের নার্সদের কাছ থেকে। টাকা না দিলে প্রসুতি মহিলার বাচ্চা আটকে রাখার মতো অভিযোগ রয়েছে  নার্সদের বিরুদ্ধে।



 

এনিয়ে নার্সদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ করে  হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোজহারুল ইসলাম উল্টো পড়েছেন প্রভাবশালী ঐ সিন্ডিকেটের তোপের মুখে। ভূইফোড় অনলাইন পোর্টাল ও ফেইসবুক পেইজে বক্তব্য দিয়ে করেছেন ডাক্তারের মানহানি। 



 

এসব কর্মকাণ্ডে প্রেক্ষিতে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোজহারুল ইসলাম গত ১৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।


অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স কৃষ্ণা রানী দাস ও আমিনা বেগম পেশায় নার্স হলেও প্রতারণার মাধ্যমে প্রাইভেট প্রাক্টিস করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়া অবৈধ গর্ভপাত, টাকা না দিলে রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ যেনো তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।



স্থানীয় এক বাসিন্দা আরশ আলী (ছদ্মনাম) জানান, হাসপাতালের নার্স কৃষ্ণা দাশ অবৈধ গর্ভপাতের জন্য এলাকায় বেশ পরিচিত। প্রতি সাপ্তাহে দুই থেকে তিনটা অবৈধ গর্ভপাত করেন তিনি। ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে বিনিময়ে ২০-২৫ হাজার টাকা করে আদায় করেন তিনি। এসব কাজে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাকে সহায়তা করেন।


এছাড়া এসব হাসপাতালে ডেলিভারী রোগিদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও ডেলিভারী প্রতি ৫ থেকে ১০হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে কৃষ্ণা নার্সের বিরুদ্ধে। প্রায় ২০ বছর ধরে এক হাসপাতালে থেকে রামরাজত্ব তৈরী করেছেন তিনি। এসব কাজ করে হয়েছেন অবৈধ বিত্তবৈভবের মালিক। প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যে কিনেছেন বাড়ি। যা দুদকের তদন্তে প্রমানিত হবে।



 

এছাড়া নার্স আমেনার বিরুদ্ধে টাকা না দেয়ায় এক রোগীর স্বজনকে তাপ্পড় মারা নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। তার স্বামী স্থানীয় ইউপি সদস্য হওয়ার সুবাদে হাসপাতালের ডাক্তাররা তার কথা না শুনলে এলাকার মানুষ ডেকে মানহানি করার হুমকি দিয়ে তার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যায়।


এব্যাপারে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কৃষ্ণা রানী দাস জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি নয়।


হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোজহারুল ইসলাম জানান, নার্সদের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই ভূক্তভোগী রোগিরা অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি সিভিল সার্জন বরাবর একটি পত্র পাঠিয়েছেন।



 

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ শামসুদ্দিন আহমদ জানান, এরকম একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments